সিলেট ২৮শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পরিচ্ছন্ন জ্বালানি রূপান্তরে এখনই উদ্যোগী হতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ
পরিচ্ছন্ন জ্বালানি রূপান্তরে এখনই উদ্যোগী হতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

Oplus_131072

নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে এখনই নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ ও তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত মতামত দেন অধ্যাপক ইউনূস।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। দীর্ঘদিন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভর করে আমরা এগোতে পারব না। বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানির দিকে এখনই আমাদের নজর দিতে হবে, বিশেষ করে বৃহৎ পরিসরে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে।”

অন্যদিকে, গুগল সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের ভাই কার্ল পেজ বৈঠকে নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও হাইব্রিড সিস্টেমের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, বার্জ-ভিত্তিক পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর সাশ্রয়ী, কম রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন হয় এবং বাংলাদেশের শিল্প খাতে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম।

পেজ আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে পারমাণবিক শক্তিকে আর বিশ্বব্যাংকসহ বড় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংস্থাগুলো নিষিদ্ধ বিষয় হিসেবে দেখছে না। ইন্দোনেশিয়া ইতোমধ্যেই তাদের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে এ প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে। তাঁর মতে, উদ্ভাবনী খাতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা দেশটিকে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তরে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “সরকার সম্প্রতি নতুন জাতীয় বিদ্যুৎ নীতি প্রণয়ন করেছে, যেখানে সৌরশক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে পারমাণবিক জ্বালানি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে আগে অবশ্যই কঠোর গবেষণা ও বাস্তবতার মূল্যায়ন জরুরি।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সরকারের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।