সিলেট ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আল্লাহ দান স্টোন ক্রাশারের পরিচালক রফিকের নেতৃত্বে চলছে পাথর-বালু চুরি ও লুট

প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০৭:৩৪ অপরাহ্ণ
আল্লাহ দান স্টোন ক্রাশারের পরিচালক রফিকের নেতৃত্বে চলছে পাথর-বালু চুরি ও লুট

নিউজ ডেস্ক : সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন ধলাই ব্রীজ সংলগ্ন পূর্বপাড়ের জব্দকৃত পাথর চুরি করে বিক্রয় করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার ২নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য উত্তর কালিবাড়ির মৃত সিকন্দর আলীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। যাহার নং- ০৬ (০৭.০৮.২০২৫)।
তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, গত ৩০.০৬.২০২৫ইং তারিখে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট হাছিবুর রহমান। এসময় তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন ধলাই ব্রীজ সংলগ্ন পূর্বপাড় থেকে ১৩৯৭১৮ ঘনফুট পাথর জব্দ করেন। মোবাইল কোর্র্ট মামলা নং ২২/২৫, তারিখ ৩০/০৬/২০২৫।
জব্দ কৃত পাথর উপজেলার মধ্যরাজনগর গ্রামের ছিদ্দিক আলীর পুত্র আম্মাজান স্টোন ক্রাশারের পরিচালক মোঃ আল আমিন, কালীবাড়ীর আব্দুস সালামের পুত্র ভোলাগঞ্জ স্টোন ক্রাশারের পরিচালক মনিরুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলাম, রাজনগর নতুন বস্তির দারু মিয়ার পুত্র ভাই ভাই স্টোন ক্রাশারের পরিচালক জয়নাল আরেদীন, সুনামগঞ্জ জেলার বিশম্ভরপুর থানাধিন ভাতেরটেকর দুদু মিয়ার পুত্র কোম্পানীগঞ্জে অবস্থিত আল্লাহ দান স্টোন ক্রাশারের পরিচালক রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালিবাড়ীর আব্দুস সালামের পুত্র মায়ের দোয়া স্টোন ক্রাশারের পরিচালক মনিরুল ইসলাম ও বকুল মিয়া, কালাবাড়ীর আব্দুল মনাফের পুত্র চাচা ভাতিজা স্টোন ক্রাশারের পরিচালক শুকুর আলী এবং কালিবাড়ী গ্রামের মইনুল ইসলামের পুত্র পাথর জগত স্টোন ক্রাশারের পরিচালক জাকারিয়া আহমদ চুরি করে বিক্রয় করেন।
গত ৩০.০৭.২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ১০.৩০ থেকে ১১.৪৫ মধ্যে এই পাথর চুর চক্র তাদের মালিকাধিন স্টোন ক্রাশারের মাধ্যমে বিক্রয় করেন। এদের মধ্যে আল্লাহ দান স্টোন ক্রাশারের পরিচালক রফিকুল ইসলামে হচ্ছে মূলহোতা। সে সংর্ঘবদ্ধ চক্র তৈরি করে রাতের আঁধারে পাথর ও বালু চুরি লুটপাট করে যাচ্ছে। রফিক পাথর বালু চুরি ও লুটপাট করতে কোনো কর্ণপাত করছেন না। স্থানীরা জানান, রফিক সাদা পাথর লুটের সাথে সরাসরি জড়িত। সে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু-পাথর চুরি এবং লুটপাট করে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। রফিকের মত অপরাধীদের আড়াল করে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদদের জড়ানো হচ্ছে পাথর লুটের সাথে। আর তা হচ্ছে বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে। আর সেই অর্থের যোগানদাতা হচ্ছে রফিকুল ইসলামে মত পাথর ও বালু চুরি লুটপাটকারীরা। স্থানীয়দের দাবী তার বিরুদ্ধে নিরপক্ষে তদন্তের। রফিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করলে প্রকৃত অপরাধীরা বেরিয়ে আসবে। রফিক চক্রের প্রশাসনে রয়েছে হাত সেই সুবাদে অভিযানের পূর্বে তারা খবর পেলে স্টোন ক্রাশারে থাকা সাদা পাথর গুলো বালু দিয়ে ডেকে দেন। যাতে প্রশাসন বালু দেখে চলে যান।
এই মামলায় স্বাক্ষী হিসেেেব প্রদান করা হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই (নিরস্ত্র) আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন, উপজেলার উত্তর কলাবাড়ীর সইবুর রহমানের পুত্র আমির উদ্দিন, দক্ষিণ কলাবাড়ীর আব্দুল আজিজের পুত্র সুলেমান মিয়া ও একই গ্রামের আম্বর আলীর পুত্র কলিম উল্লাহ। এই মামলা দায়েরের পরও অনেক অপরাধী স্টোন ক্রাশারের পরিচালকগণ প্রকাশ্যে ঘুরছেন। তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এই বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার নবাগত ওসি মো. রতন শেখ জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি