আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলজুড়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ ও সমাবেশ করছেন। এতে অংশ নিয়েছেন জিম্মিদের পরিবার এবং সাধারণ মানুষ।
`হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম’ নামের সংগঠনটি এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা বহুদিন ধরেই ইসরাইলি সরকারকে জিম্মিদের মুক্তিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে। সংগঠনটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে, তিনি যেন যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে সহায়তা করেন এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তিতে ভূমিকা রাখেন।
ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মধ্যে এখনো প্রায় ২০ জন জীবিত আছেন। এদিকে সড়ক অবরোধের কারণে রাজধানী তেল আভিভসহ বিভিন্ন শহরের মহাসড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে তেল আভিভের উত্তরে ইয়াকুম জংশনের কাছে কোস্টাল হাইওয়ে (রুট টু) পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে, যেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কের মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে জিম্মি মাতান জাঙ্গাউকারের মা আইনাভ জাঙ্গাউকার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ৬৯০ দিন ধরে সরকার কোনো সুস্পষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। নেতানিয়াহু জনগণের চাপকেই সবচেয়ে বেশি ভয় পান। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তিনি বারবার বেসামরিক মানুষকে বলি দিচ্ছেন।
এই বিক্ষোভ এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন গাজায় নতুন করে ইসরাইলি বিমান হামলা চলছে এবং স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিক ও চারজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
কার্যালয় : কাকলী শপিং সেন্টার (লিফটের ৫ম তলা), জিন্দাবাজার, সিলেট
ইমেইল : news.vorersylhet@gmail.com যোগাযোগ : 01621468454